স্বাধীনতা।

                                                                            স্বাধীনতা -------


     


       রাস্তাঘাটে, ক্লাব, মজলিসে একটা উৎসব। পতাকা উত্তোলন, নানান বক্তৃতা  বিপ্লবীদের জীবন, আত্মত্যাগ নিয়ে নানান কথা সঙ্গীতানুষ্ঠান। কিন্তু সর্বত্র একটা বিবর্ণতার ছাপ।

       আমরা বাচঁতে চাই, আমরা সকলে বাঁচতে চাই। ভীষণভাবে বাঁচতে চাই। তার পরেও--- অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বেকারত্বের জ্বালা আত্মহত্যা, কৃষকের ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা, নারী ও শিশু পাচার ,নারী ধর্ষণ যে দেশের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ,অনাহারে মৃত্যু, আমাদের দেশে নিত্যদিনের সঙ্গী।

       তাই একটা সময় ক্ষুদিরাম বলেছিলেন ---'আমি পাগল হয়ে যাই যখন দেখি রাস্তার দু'ধারে গরীব অনাহারক্লিষ্ট মানুষগুলো শীতে থর থর করে কাঁপে আর তার সামনে দিয়ে বাবুরা গরম চাদর গায়ে দিয়ে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে হেঁটে  যায়।'

       তাই হয়তো নেতাজির কথাটা আজ অতি প্রাসঙ্গিক---- শুধু ব্রিটিশ দের  তাড়িয়ে  আমরা স্বাধীনতা পাব না । আমাদের আরও একটা বিপ্লব করতে হবে, শোষনহীন সমাজ গড়তে। যেখানে যুক্তিহীন বিশ্বাস নিয়ে অন্ধত্বের বশবর্তী হয়েই যুবকরা হিংস্র হয়ে উঠবে না।

Post a Comment

ধন্যবাদ

Previous Post Next Post